আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী মারা গেছেন।
আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
জয়নাল হাজারী ১৯৮৪-২০০৪ পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়া ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ’ ৯১ ও’ ৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
হাজারী ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০১ সাল পর্যন্ত ফেনীতে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়।
ফেনীর গডফাদার নামে পরিচিত ছিলেন আলোচিত এই আওয়ামী লীগ নেতা।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পর নানা কারণে আলোচনায় উঠে আসেন সমালোচিত এই এই রাজনৈতিক নেতা।
২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১৬ আগস্ট রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। তিনি তখন ভারতে আত্মগোপনে চলে যান।
২০০৪ সালের এপ্রিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন।
এরপর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে আট সপ্তাহের জামিন পান হাজারী।
পরে ১৫ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে পাঠানো হয় কারাগারে।
চার মাস কারাভোগের পরে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন তিনি।
পরে তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে একে একে অব্যাহতি পান প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ।
দেড় দশক পর ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পদ পান তিনি।
আরও পড়ুন: দুবাই থেকে জেনারেল আজিজ কী বলতে চেয়েছেন?
