বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

ধানমন্ডিতে বাসা রেখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে কী করতেন মুরাদ



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১:০১ : পূর্বাহ্ণ

সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের একটি ভবনের চার তলায়।

ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার ব্যক্তিগত অফিসও রয়েছে। কিন্তু ধানমন্ডির বাসার বদলে প্রায়ই তিনি রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ের স্যুইটরুমে রাত্রিযাপন করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণও মিলছে মুরাদ হাসানের ফাঁস হওয়া অডিওতে। এতে তিনি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে হোটেল সোনারগাঁওয়ের স্যুইটরুমে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে-রাজধানীতে নিজের বাসা থাকার পরও মুরাদ হাসান কেন সোনারগাঁও হোটেলে প্রায়ই রাত কাটাতেন?

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সোনারগাঁও হোটেল কর্তৃপক্ষ গ্রাহক নিরাপত্তার অজুহাতে এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মুরাদ হাসান বেপরোয়া জীবন-যাপন করতেন। প্রায় রাতেই হোটেল সোনারগাঁওয়ে পার্টি আয়োজন করতেন।

এসব পার্টিতে একাধিক মডেলসহ শো-বিজের অনেকে উপস্থিত থাকতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, মুরাদ হাসান হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাতপ্রতি কিং স্যুইটরুমের জন্য ভাড়া বাবদ ভ্যাটসহ ৩০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় করতেন। কখনো কখনো পার্টি আয়োজনে খরচ করতেন ২-৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

এই নেতা নিজেও ডা. মুরাদের পার্টিতে একবার মদ্যপানের সুযোগ পেয়েছিলেন বলে জানান।

ডা. মুরাদ হাসানের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, যে ব্যক্তি ধানমন্ডিতে বাসা ও অফিস থাকার পরও সোনারগাঁও হোটেলে রাত কাটাতে যায়, সেই ব্যক্তি কেমন চরিত্রের তা বলার রুচি নেই। এছাড়া সোনারগাঁও হোটেলে সে কেন থাকতো, সেটি তো তার কলরেকর্ডই বলে দিচ্ছে। এর বাইরে বলার কী আছে!

গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।

গত অক্টোবরে প্রথম রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন মুরাদ হাসান।

বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।

গত ৪ ডিসেম্বর ইউটিউবে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ।

এরপর গত রোববার রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনালাপ ফাঁস হয়।

ওই ফোনালাপে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনারও হুমকি দেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার।

এসবের জেরে মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

আরও পড়ুন:

ডা. মুরাদের সঙ্গে নায়ক ইমনের ঘনিষ্ঠতার নেপথ্যে…

ছাত্রদল নেতা থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী, ‘দুঃসময়ে পল্টি দেন ডা. মুরাদ’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর