নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৭ নভেম্বর, ২০২১ ১১:৩৫ : পূর্বাহ্ণ
রাজধানীর মিরপুর রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে।
ওয়েবিল ও সিটিং সার্ভিস বন্ধের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে আজও বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটা থেকে মিরপুরে চালকদের একটি অংশ বাস চালানো বন্ধ করে দেয়।
আজ বুধবার ভোরের দিকে কিছু বাস চলাচল করলেও পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়।
চালক-হেলপারদের অভিযোগ, ওয়েবিলের কারণে প্রতিদিনই ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়াতে হচ্ছে তাদের।
অন্যদিকে মালিকদের পক্ষ থেকেও ওয়ে বিল অনুযায়ী ভাড়া আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এসব নিয়ে চালক-হেলপারদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে৷
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ জানিয়েছেন, সরকারি নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই অচিরেই বন্ধ করা হবে ওয়েবিলের নিয়ম।
অঘোষিত বাস ধর্মঘটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর ১২ নম্বর থেকে বিভিন্ন রুটের ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোর কন্টাকটারের সঙ্গে যাত্রীদের একাধিক বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে বেশি ভাড়া আদায় নিয়ে।
এরপর দুপুর থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল শ্রমিকরা বন্ধ করে দেয়।
সন্ধ্যার পরে কিছু বাস চলাচল করে। তবে বুধবার সকাল থেকেই আবার পরিবহন শ্রমিকরা অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে।
এতে অফিসগামী এবং বিভিন্ন কাজে রাস্তায় বের হওয়া যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
অনেক বছর ধরে গেটলক ও সিটিং সার্ভিসের নামে গণপরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে।
এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাজধানী থেকে সিটিং সার্ভিস এবং গেটলক সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিআরটিএ এবং মালিক সমিতির ভিজিল্যান্স টিম রাস্তায় নেমে তৎপরতা শুরু করে।
কিন্তু পরিবহন শ্রমিক এবং মালিকদের কিছু অংশ এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।
তারাই এখন অঘোষিত বাস ধর্মঘটের মাধ্যমে সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সার্ভিস চালু রাখতে চাপ সৃষ্টি করছে।
আজ সকালের দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও ১২ নম্বর সেকশন থেকে পরিস্থান, বসুমতি পরিবহনের কিছু বাস উত্তরা পর্যন্ত চলতে দেখা গেছে।
কিন্তু বেলা বাড়ার পরে পরিবহন শ্রমিকরা এসব বাস চলাচলে বাঁধা দেয়।
বসুমতি পরিবহনের কন্ট্রাক্টর জানান, মালিকপক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধে কোনো কিছু বলা হয়নি। পরিবহনের শ্রমিকরা গাড়ি বন্ধ রেখেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, কোন ধরনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। শুধুমাত্র মিরপুর রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। সমাধানের চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বন্ধ হচ্ছে বাসের সিটিং ও গেটলক সার্ভিস
আরও পড়ুন: বিএমডব্লিউ মাত্র দেড় লাখ টাকা!