বিএনপিকে গণতন্ত্র হত্যাকারী আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের রক্ষাকারী।’ তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন হ্যাঁ-না ভোট করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
‘১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে চেয়েছিল’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল। এমনকি বিএনপি সংবিধান থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূলোৎপাটনও করেছে।’
‘গণতন্ত্র বিকাশের পথে বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সঠিক পথে এনেছেন’ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র বিকাশে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সময়ের ব্যাপার, কিন্তু বিএনপি যদি বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতো, তাহলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে খুব দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতো না।’
‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই’-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গত একযুগ ধরে এমন কথা বলে আসছেন। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, বিএনপির পায়ের নিচেই মাটি নেই। কারণ তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকলে তো তারা রাজপথে নামতো, নির্বাচনেও আসতো।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে। নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তাই তারা শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচনবিমুখ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি সরকারের সমালোচনা করতে পারছে এবং বক্তৃতা, বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা, টকশোসহ নানা উপায়ে সমালোচনা করছে, এজন্য সরকার তো তাদের কোন শাস্তি দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সহনশীল বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, একুশে আগস্ট শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যার চেষ্টা করার পরেও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়নি।’
‘দেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ সরকারের ওপর খুশি বলেই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। বিএনপি চেয়েছিল দেশের মানুষ না খেয়ে রাস্তায় মরে পড়ে থাকুক, কিন্তু, তা হয়নি বলে বিএনপির অন্তর্জালা শুরু হয়েছে।’
