শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

কুমিল্লার মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তির নাম জানালো পুলিশ



প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশের সময় :২০ অক্টোবর, ২০২১ ৮:০১ : অপরাহ্ণ

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন মাজীদ রাখা ব্যক্তিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। তার নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ বলছে, ইকবাল হোসেন ভবঘুরে। তার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়।

গত ১৩ অক্টাবর সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপে কুরআন অবমাননার অভিযোগে রঘুরামপুর গ্রামের মো. ফয়জ (৪১) ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাটি প্রচার করেন।

এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাংচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় নিহত হয়েছিলেন দুইজন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাংচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দুদের মন্দির–মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়েছে দেশের আরও অনেক এলাকায়।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন মাজিদ রাখার দৃশ্যটি লাইভ প্রচার ও মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে সেদিন রাতেই পুলিশ ফয়জকে আটক করে। এরপর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

কুমিল্লার ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলার তিনটি থানায় মোট আটটি মামলা হয়েছে। এই আট মামলায় অজ্ঞাত অন্তত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর