সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে সৌদি জোটের হামলায় ১৬০ হুতি যোদ্ধা নিহত


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ অক্টোবর, ২০২১ ৮:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বধীন আরব জোটের হামলায় ১৬০ জন হুথি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ইয়েমেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মারিব প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এই প্রাণহারির ঘটনা ঘটে বলে শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আরব জোটের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, হুথিদের লক্ষ্য করে আবদিয়া জেলায় ৩২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে হুথিদের ১১টি সামরিক যানও ধ্বংস হয়েছে।

তবে হামলায় হতাহতের ব্যাপারে হুথি বিদ্রোহীরা খুব একটা মুখ খোলেন না। তাই নিহতের সংখ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলের মারিব প্রদেশ হুথি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সোদি জোট বলছে, হুথিদের দখলে যাওয়ার পর থেকে এই প্রদেশে বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনের এই প্রদেশে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। গত সপ্তাহে মারিবে সৌদি জোটের বিমান হামলায় ৭০০ জনের বেশি হুথি সদস্যের প্রাণহানি ঘটে।

শিয়াপন্থী হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ব্যাপকভাবে বিমান হামলার ওপর নির্ভরশীল। তবে প্রাণহানির পরিসংখ্যান কীভাবে তৈরি করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি সৌদি জোট। তেল সমৃদ্ধ ইয়েমেনের মারিব শহর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি।

এর আগে, শুক্রবার আবদিয়ায় সৌদি জোট বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ১৮০ হুথি সদস্যকে হত্যা এবং ১০টি সামরিক যান ধ্বংস করে। গত ফেব্রুয়ারিতে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুথিরা কিন্তু সেবার বিপুলসংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েকমাস স্থগিত ছিল তাদের সেই শহর দখল অভিযান।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর