পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সময়মতো সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলে নাকি তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি একটি মীমাংসিত বিষয়। মীমাংসিত বিষয় নিয়ে অযথা মাঠ গরম করবেন না।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল কে করেছে? উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে। এ পদ্ধতি ছিল একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা, দীর্ঘ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চলতে পারে না।’
আজ শনিবার দুপুরে সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বিএনপির জনসমর্থনের জোয়ারে সরকারের হৃৎকম্পন শুরু হয়েছে’-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের পাল্টা জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন,
‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা বিএনপিকে আগেই পেয়ে বসেছে। তাই তাদেরই হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে। বিএনপির কথিত জোয়ার এখন ভাটায় পরিণত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের হাতিয়ারে মরিচা ধরে গেছে।
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উপস্থাপন করেন। আর, মাঝে মধ্যে তার বাকচাতুর্য কল্পনাকেও হার মানায়।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভয়ে কাঁপে না। চ্যালেঞ্জ আর লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়াই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, আর সেই রাজনীতিই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করে যাচ্ছে।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার আর আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে অপচেষ্টা করছেন, তা আমাদের অজানা নেই। বিএনপির সবকিছুতেই শর্ত এবং মামাবাড়ির আবদার।’
বিএনপি মহাসচিবের কাছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, ‘কারা হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসন করেছিল? কারা সেনাপ্রধান পদ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিল? কারা ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল? কারা এক কোটি ২৭ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে জনগণের অধিকার হরণ করতে চেয়েছিল? এতো প্রশ্নের জবাব বিএনপি মহাসচিব দেবেন বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না’, ফখরুলের হুঁশিয়ারি
