সারাদেশে ১১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আগামীকাল সোমবার ভোট গ্রহণ করা হবে।
ভোটের আগেই বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৪৩টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে বাগেরহাটে ৬৬টি ইউপির মধ্যে ৩৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। বাকি ২৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
বিনা ভোটে জয়লাভ করা ইউপির মধ্যে বাগেরহাটের বাইরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৪টি এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার যেসব জেলায় ইউপি নির্বাচন হবে এর মধ্যে খুলনায় ৩৩টি, বাগেরহাটে ২৮টি, সাতক্ষীরায় ২১টি, নোয়াখালীতে ১৩টি, চট্টগ্রামে ৮টি এবং কক্সবাজারে ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। নির্বাচনী এলাকায় কোনও সাধারণ ছুটি থাকছে না। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। এছাড়া ভোট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরা।
যেসব যান চলাচল বন্ধ
শনিবার রাত ১২টা হতে ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া ভোটের আগের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা হতে ভোটের দিন ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিক আপ, লঞ্চ, স্পিডবোট এবং ইঞ্জিন চালিত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া জরুরি সেবাসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করতে পারবে।
উল্লেখ্য, দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে কয়েক ধাপে ভোট হবে। গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে গত ২১ জুন ২০৪টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।