সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১০ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ মে, ২০২৪ ১:৪৫ : অপরাহ্ণ
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
Rajnitisangbad Facebook Page

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে-এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে সাংবাদিকরা অবাধে ঢুকতে পারছে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? ওয়েবসাইটে সব আছে আপনার জানার বিষয়। আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন!’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রিজার্ভ এখন কম না। এটা আরও বাড়তেও পারে। কারণ এখন আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, আমাদের রেমিট্যান্সও বাড়ছে। এই মুহূর্তে যে প্রবণতা। এগুলো বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।’

খবর এসেছে, পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি দুবাইয়ে বাড়ি করেছে—এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে অর্থ পাচারের ঘটনা তুলে ধরেন। তাদেরটা তো হাতেনাতে ধরা পড়েছে। সিঙ্গাপুরে মানি লন্ডারিং, এটা কি আওয়ামী লীগ করেছে?’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ঘাটতির জন্য সব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে এবং এর প্রভাব অর্থনীতিসহ বিভিন্ন জায়গায় পড়ছে। আপনি এ ব্যাপারে কী মনে করেন—জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেবের বক্তব্য তো? বাংলাদেশ বাংলাদেশের মতো চলবে। বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে নেই, সেটা অনেকেরই আজকে মেনে নেওয়া কঠিন।’

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু সম্প্রতি ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি-এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে যে বক্তব্য রেখেছেন, সেটা যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না এটা আমি তার সঙ্গে আলাপ করলেই বুঝতে পারব। তিনি হয়তো সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারে যে নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেওয়ার জন্য। তারা তুলে নেবে এমন কথা বলেছে কি না সেটা উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করলেই বোঝা যাবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী তখন কারাগারে ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এই ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছিল। এর মধ্যে ৭০৩ জন দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী। এদেরকেও ক্ষমা করে দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত খুনের প্রধান আসামিকে জিয়াউর রহমান ছেড়ে দিয়েছিল।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম যখন বলেন বাকশালী শাসন, আমি মির্জা ফখরুলকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাকশাল কোনো একদল নয়। এটা ছিল একটি জাতীয় দল। নামটায় কৃষক আর শ্রমিক যুক্ত করা হয়েছিল—কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এটাকে বাকশাল বলে একটি গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি অনেকেরই ছিল।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, ‘আমি মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিসিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিল। সেটার কী জবাব দেবেন? আরও দুএকবার বলেছি জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাঁটাঘাঁটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর