‘চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ হতে জিয়াউর রহমানের যে লাশ ঢাকায় এলো, একটা লাশের ছবি দেখান’-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে গত দুই বছর বার বার এ প্রশ্ন করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখনো তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দেননি।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের নিজেই এ প্রশ্নের ‘উত্তর’ দিলেন-‘শুনা যায়, লাশ কোথায় পাবে, লাশ তো পুড়িয়ে ফেলেছে!’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘উনি বলেন, আমার সব প্রশ্নের উত্তর দেন, এখনো একটার প্রশ্নের উত্তর দেননি। তাহলে প্রমাণ কীভাবে দেবেন? এই কথা বলতে গেলেই তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের মিথ্যাচার করছে। আসলে তিনিই মিথ্যাচার করছেন।’
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর থাকবে কি থাকবে না এ নিয়ে সরকারের এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কোনো বির্তকে যেতে চাই না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার বক্তব্য হচ্ছে, ওই কফিনে কি কোনো লাশ ছিল? যে লাশটা জেনারেল এরশাদ বহন করেছিলেন, ফখরুল সাহেব এটাকে প্রমাণ হিসেবে আনছেন। এটা কি প্রমাণ হলো? ভিতরে কিছু নেই, কফিন কে বহন করল সেটা কী প্রমাণ-সেখানে তার লাশ ছিল?’
তিনি বলেন, ‘সিপাহী বিদ্রোহ থেকে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম পুঞ্জিভূত হলেও স্বাধীনতা আসে নাই। স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও সংগ্রামে ফলশ্রুতিতে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে টুঙ্গিপাড়ায় ৫৭০ সাবানে গোসল দিয়ে মার্কিন কাপড়ে কাফন দিয়ে ১৮ জন মানুষ জানাজা পড়ে দাফন করে, যার সবটাই জিয়াউর রহমানের মস্তিষ্কপ্রসূত। অজপাড়াগায় সেই টুঙ্গিপাড়া আজ বাঙালির তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।’
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।