নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে করিম উদ্দিন শাকিল নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীরা দুই পায়ে গুলি করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ মিস্ত্রীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শাকিল বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের সদস্য। তিনি কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
শাকিলের ওপর হামলার জন্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাশেলকে দায়ী করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগিনা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু।
আহত শাকিলের বাবা মোহাম্মদ সেলিম মিয়া একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে বিকেলে এক বন্ধুর মায়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফিরছিল। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৩৫-৪০ জন লোক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে আমাকে ও আমার খালাতো ভাই রাহাতকে এবং ছাত্রলীগ কর্মী করিম উদ্দিন শাকিলকে হত্যার হুমকি দেয় কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাশেল। হুমকির এক দিন পর কেচ্ছা রাশেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা শাকিলের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, শাকিলের দুই পায়ে গুলির স্প্রিন্টারের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর কোম্পানিগঞ্জে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।