সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লজ্জা-শরম নেই, বিস্ফোরক মন্তব্য ফখরুলের


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৪ জুলাই, ২০২১ ৪:২০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘লজ্জা-শরম বলতে কিছু নেই’ বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি নির্লজ্জ একজন ব্যক্তি, পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরা কথা বলছেন, বিরোধী দলের কয়েকজন কথা বলেছেন, সারাদেশের মানুষ কথা বলছেন। তাদের মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি যখন প্রমানিত হয়েছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে যখন তিনি চিত্রিত হয়েছেন, ছবি তোলা হয়েছে অ্যাগ্রিমেন্ট সই করার সময়ে। তার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না। তার লজ্জা-শরম কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না।’

আজ রোববার (৪ জুলাই) সকালে রাজধানীতে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের উদ্যোগে ‘মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী: গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে এরকম একটা ভয়ংকর গণবিরোধী সরকার যারা আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা এখনো সরকারে আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এই করোনাভাইরাসে যখন মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে, আপনি দেখুন তখন স্বাস্থ্য খাতে কীরূপ দুর্নীতি চলছে। আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম জেলার হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হোক, অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হোক, ওষুধের ব্যবস্থা করা হোক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শতকরা ৫২টি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড নেই। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, একটা জেলা হাসপাতালে পর্যন্ত কোনো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।’

গণমাধ্যমের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনকার সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই। গনতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমও ভালো থাকে না।গণমাধ্যমে একটু সরকারের সমালোচনা করলে তাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে। আমি দেখলাম, গত ছয় মাসে ১৫০ জনের মতো সাংবাদিককে তাদের শুধু সত্য কথা লেখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলা করা হয়েছে।’
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীসহ অনেকে কারাগারে আছেন। আবুল আসাদের মতো প্রবীণ সাংবাদিককেও তারা শুধু জেলে পুড়েননি, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছেন। এটা ফ্যাসিজমের নিয়ম। প্রথমে তারা রাজনীতিকদের ধরেছে এরপর এখন সাংবাদিকসহ ভিন্নমত দমন শুরু করেছে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আবদুল হাই শিকদার, বাকের হোসাইন, বাসির জামাল, রাশেদুল হক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মোরসালিন নোমানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর