দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে আজ রোববার (৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে এবারের বিধিনিষেধে নতুন কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
এর আগে গত ৩০ মে বিধিনিষেধের মেয়াদ ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই হিসেবে আজ চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এবার বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে নতুন যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
২. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান- ওয়ালিমা, জন্মদিন , পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
৩. খাবারের দোকান ও হোটেল- রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকঅ্যাওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।
৪. কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্ব-স্ব এলাকার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
৫. আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
দেশের প্রথম কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কখনো ৭ দিন কখনো ১০ দিন করে এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে থাকে সরকার। সবশেষ বিধিনিষেধ ছিল ৩০ মে থেকে আজ ৬ জুন পর্যন্ত। আজ বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো আরও ১০ দিনের জন্য।