জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত পলাতক চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব ও পদক বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার (৬ জুন) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
যে চারজনের খেতাব ও পদক বাতিল হয়েছে তারা হলেন-লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এস এইচ এম এইচ এম বি নুর চৌধুরী, লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী এবং নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য শহীদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত এই চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব থাকা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এজন্য এ গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পান।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ওই চারজনসহ মোট ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে ঢাকার দায়রা জজ আদালত। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দেয়। তবে ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট সবশেষ এ তালিকা হালনাগাদ করা হলেও সেখানে খুনিদের নাম থেকে যায়।
জাতির পিতাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই চারজনের খেতাব বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাশ রিট আবেদন করেন। তার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও গেজেটে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় খুনির অন্যতম নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন খানের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি রয়েছে।
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।