শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি শেষ, নথি পর্যালোচনার পর আদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ মে, ২০২১ ২:০২ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে এ শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে রোজিনা ইসলামের পক্ষে অংশ নিয়েছেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেছেন, মামলার এজাহার ত্রুটিপূর্ণ। আর অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট অনুযায়ী এখানো কোন অপরাধ সংঘটিত হয় নাই। যেহেতু অপরাধ সংঘটিত হয় নাই সেহেতু আবেদনকারী জামিন পাওয়ার হকদার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েতউদ্দিন খান হিরন বলেন, এই সরকার সাংবাদিকবান্ধব। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়। এখানে একজন সাংবাদিক অপরাধে জড়িয়ে নিজেকে মুক্ত করতে মুচলেকা দিতে চেয়েছিলেন। আমরা সেই ভিডিও ফুটেজ কোর্টে দাখিলের জন্য সময় চাচ্ছি।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৮ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য আজ (২০ মে) দিন ধার্য করেন।

ওইদিন শাহবাগ থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে করা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ৬ ঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর হয়। রে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধিতে চুরির অভিযোগে এবং ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরানো ও অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর