শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের ২ শর্ত, লড়াই চালানোর ঘোষণা নেতানিয়াহুর


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ মে, ২০২১ ১১:০৫ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইসরায়েল ও গাজা দু ‘একদিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতিতে একমত হবে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, ইসরায়েলিদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, তারা ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি করবেন দুটি বিশেষ শর্তে। এর একটি হলো, আল আকসা মসজিদের প্রবেশপথে পুলিশ মোতায়েন না রাখার ব্যাপারে রাজি হতে হবে ইসরাইলি বাহিনীকে। দ্বিতীয় শর্ত হলো, বিরোধপূর্ণ পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা বন্ধ করতে হবে।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মুসা আবু মারজুক লেবাননভিত্তিক আল-মায়াদিন টিভিতে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য চলমান প্রয়াস সফল হবে। আমি আশা করছি, এক বা দু’দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো যাবে।

মারজুক আরো বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীর, জেরুসালেম, গাজা ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের মধ্যে থাকা আরব শহরগুলোসহ নানা ফ্রন্টে একসাথে যুদ্ধ করতে যে ইসরাইল পারবে না, তা নিয়ে তারা চিন্তিত।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বুধবার আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যুদ্ধবিরতির আহ্বান-সংবলিত একটি খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত করা নিয়ে আলোচনা করছে।

এছাড়া গত বুধবার ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানায়, ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে যে, শুক্রবারের আগে কোনো যুদ্ধবিরতি গ্রহণযোগ্য হবে না।

যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেলেও বৃহস্পতিবার গাযায় হামাসের নানা স্থাপনার ওপর অন্তত একশ বার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অপরদিকে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলা করে এর জবাব দিয়েছে।

দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার আরেকটি কারণ ঘটছে লেবাননে। সেখান থেকেও উত্তর ইসরাইলে রকেট নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে গত ১০ মে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই এলাকাটি মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়ে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রকেট ছুঁড়তে শুরু করে। এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের বিভিন্ন নগরীতে হামাস এ পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ৭০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে। অবশ্য এর বেশির ভাগই ইসরায়েলের আয়রন ডোম ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু, ৩৮ জন নারী। আর আহত হয়েছে ১ হাজার ৬২০ জন। এই তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৪ শিশুসহ ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ করা ফিলিস্তিনি রকেটে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২ জন।

হামাস ও ইসলামিক জিহাদ বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের অন্তত ২০ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আর ইসরায়েল এ সংখ্যাটি অন্তত ১৩০ হবে বলে দাবি করেছে। প্রায় ৫৮ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে গেছে।

সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল ও ডেইলি সাবাহ

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর