জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে। আর এই ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর।’
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের কোনো গণভিত্তি নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জুলুম-নির্যাতন ও সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল। দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বীভৎস বিকৃত রূপ তীব্র মাত্রা ধারণ করেছে। যার ফলে জনসমাজে কারো কোনো সম্মান, নিরাপত্তা ও জীবনযাপনের স্বাভাবিকতা নেই। সারা দেশের সর্বত্র সরকারের উন্মত্ত আচরণ মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তিকে এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, অপরিকল্পিত লকডাউনে বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউনের ধারাবাহিকতায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হাটহাজারী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস শুক্কুর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলমসহ তিন শতাধিক নেতা–কর্মীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার কল্পকাহিনী সাজিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্ভট মামলা দিচ্ছে।
বিবৃতিতে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে দমন ও জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার উল্লিখিত নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। রোজা ও করোনার মধ্যেও হরহামেশা নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে পুলিশ। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতেই সরকার বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারি অভিযান পরিচালনা করছে।
