মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

‘সম্ভাবনার নতুন দুয়ার’ খুলতে পিএইচপিতে যুক্ত হলেন ২৩ বছর বয়সী মহসিন ভিক্টর


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৭ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৩০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

মহসিন ভিক্টর, বয়স ২৩ বছর। গত বছর লন্ডনের গোল্ড স্মিথস ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিংয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর দেশে এসে তিনি খ্যাতনামা শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামেলির সেক্রেটারিয়াল পদে যোগ দিয়েছেন।

দেশের স্বনামধন্য এ শিল্পগ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বড় ছেলে পিএইচপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিনের বড় ছেলে মহসিন ভিক্টর। তার হাত ধরেই পিএইচপি ফ্যামেলিতে যাত্রা শুরু হয়েছে তৃতীয় প্রজন্মের।

আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে পিএইচপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন মহসিন ভিক্টর। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সুফি মিজানুর রহমানের ষষ্ঠ ছেলে ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু।

মহসিন ভিক্টরের জন্ম ১৯৯৮ সালের ৩ মার্চ। ২০১৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল তার্কিস হোপ স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল (সিজিএস) থেকে ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করেন। পরে লন্ডনের ডেভিড গেম কলেজ থেকে ২০১৭ সালে ফাউন্ডেশন কোর্স শেষ করে ২০২০ সালে গোল্ড স্মিথস ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিংয়ে মাস্টার্স করেন। গত ১ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরেন।

মহসিন ভিক্টর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘দাদু (সুফি মিজান) আমাদের বলতেন, ‘তোমরা কাদামাটিতে লুকানো হীরা। সেই হীরাকে ঘষে-মেজে সাফ ও তৈরি করতে হবে।’’

নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার জন্য পিএইচপিতে মাঠ পর্যায়ে যোগ দিয়েছি জানিয়ে মহসিন ভিক্টর বলেন, ‘তৃতীয় প্রজন্মের কোনো ভুলের কারণে পিএইচপির কোনো ক্ষতি হোক আমরা চাই না। আমরা চাই, আমাদের হাত ধরেই সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে পিএইচপিতে।’

সুফি মিজানের ৭ ছেলের ২৩ জন উত্তরসূরি রয়েছেন পিএইচপি ফ্যামেলির। ভবিষ্যতে এরাই হাল ধরবেন। যুক্ত হবে পিএইচপির সাথে। কিন্তু পড়ালেখা শেষে পিএইচপির সাথে যুক্ত হওয়ার আগে রুট লেভেলে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে সবাইকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন, মার্কেটিং, ফাইন্যান্সসহ সাধারণ একজন কর্মচারীর কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে তাদের। এমন সিদ্ধান্ত সুফি মিজানের সাত ছেলের।

পিএইচপি ফ্যামেলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘আপাতত সেক্রেটারিয়াল পদে ভিক্টর পিএইচপিতে যোগদান করেছেন। পিএইপিতে কর্মরত একজন সেক্রেটারি যে বেতন পান সেও তা পাবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে মাঠ পযার্য় থেকে শুরু করে পিএইচপির প্রত্যেকটা বিভাগে কাজ করবে এবং কাজ শিখবে। তৃতীয় প্রজন্মের প্রত্যেক সদস্য পারিবারিকভাবে পিএইচপির পরিচালক হলেও দায়িত্ব গ্রহণের আগে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।’

মাঠ পযার্য় থেকে কাজ করার এমন সিদ্ধান্ত কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সূফি মিজানুর রহমান অনেক কষ্ট করে পিএইচপি গড়ে তুলেছেন। আমরা ভাইয়েরা কেউ চাই না কোনো ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাবার গড়া পিএইচপির ভিত ভেঙে পড়ুক। তাই এই সাবধানতা।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর