শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মিনারে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ মার্চ, ২০২১ ১০:৫০ : পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ সহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার একপর্যায়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থক যুবদল নেতা মুন্না ও ছাত্রদল নেতা জামালের নেতৃত্বে বেশকিছু লোক দেশীয় অস্ত্র বল্লম-টেটা নিয়ে শহীদ মিনারের পেছনে রাস্তায় এসে অবস্থান নেন।

তখন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু।

এসময় হঠাৎ আনোয়ার হোসেন মাস্টারের সমর্থক নেতাকর্মীরা আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও নুরুজ্জামান লস্কর তপুর দিকে এলোপাতাড়ি ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে নুরুজ্জামান লস্কর তপু গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা এগিয়ে গেলে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এসময় সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশসহ দু’গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করার সময় আনোয়ার হোসেন মাস্টারের লেলিয়ে দেয়া কিছু সন্ত্রাসী যুবদল নেতা মুন্না, ছাত্রদল নেতা জব্বার ও জামালের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় আমাদের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, আমি শহীদ মিনারে যাইনি। আমি এই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই।

সরাইল থানার ওসি নাজমুল আহমেদ বলেন, শহীদ মিনারে যাওয়ার সময় বিএনপির দু’পক্ষের মর্ধ্যে সংর্ঘষ হয়। এসময় আমিসহ আরও ৬জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর