শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২২ শাবান, ১৪৪৬

মূলপাতা অন্যান্য

তিস্তাপাড়ে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী কর্মসূচিতে জনতার ঢল



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

তিস্তাপাড়ে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী অবস্থান কর্মসূচিতে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আজ সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসতে শুরু করে হাজারো মানুষ। কেউ কেউ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন পায়ে হেঁটে।

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরের ১১টি স্থানে অভিনব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

আজ সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন হওয়া এ কর্মসূচি চলবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত।

রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এ আন্দোলনে অংশ নেন। এ ছাড়া নারীরাও অংশ নেন।

আন্দোলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে তিস্তার দুই পাড়।

বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে শত শত তাঁবু। যেখানে মঙ্গলবার রাতে রাত্রিযাপন করবেন আন্দোলনে যুক্ত হওয়া হাজারো মানুষ।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত উজানে বাঁধ নির্মাণ করায় তিস্তার পানির প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, আর এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পেয়ে হাজার হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে লাখ লাখ মানুষকে দুর্দশার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

 

আন্দোলনে যুক্ত হওয়া কৃষক মো. আব্দুল সামাদ বলেন,‘ভারতের আগ্রাসন রুখতে এখনই আমাদের সোচ্চার হতে হবে, নইলে ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থী কাইয়ুম হোসেন বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে আমরা ন্যায্য পানি পাচ্ছি না। যখন আমাদের পানি প্রয়োজন হয় না তখন ইন্ডিয়া আমাদের পানি দিয়ে প্লাবিত করে দেয়। আন্দোলন করার একটাই উদ্দেশ্য হলো, আমাদের পানির দরকার।’

মূলত তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ব জনমত গঠনে দুদিন ব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। কর্মসূচি ঘিরে নীলফামারী থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ১১টি স্থানে মঞ্চ ও তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুপুর ২টায় তিস্তা পাড়ের প্রধান সমাবেশে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।

দুই দিন ব্যাপী প্রতিটি স্থানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেবেন। মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’, আহতরা ‘জুলাইযোদ্ধা’ স্বীকৃতি পাবেন

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর