রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র আহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘গাজীপুরে আজকেই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষ দিন। আমরা আসছি…।’
ওই হামলার ঘটনায় আজ শনিবার গাজীপুরে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার আনুমানিক রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দক্ষিণখানে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে পাল্টা হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০ জন ছাত্র আহত হন।
আহতরা দাবি করেছেন, মোজাম্মেলের বাড়িতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তার আগে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবি, মারধরের শিকার কেউ বাড়িতে হামলা করতে যাননি। কয়েকজন ছাত্রকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে–এমন খবর দিয়ে উদ্ধারের জন্য তাদের ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলে মারধর করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের যুগ্ম আহ্বায়ক নাবওল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের রাত সাড়ে ৮টার দিকে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা যেন দ্রুত গিয়ে তাদের বাঁচাই। খবর পেয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের উদ্ধার করতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে নিয়ে তাদের আটকে মারধর করে।’
গাজীপুরের একাধিক ব্যক্তি জানান, ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকা মূলত আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। এখানকার বেশির ভাগ লোকই আওয়ামী লীগ সমর্থক। এই কথা এলাকার সবাই জানে। তবু মাত্র ১৫-২০ জন লোক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালাতে যাবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। গত রাতের ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। পুলিশের উচিত, বিষয়টি তদন্ত করে বের করা।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছে, তা নিশ্চিত হতে পারিনি। এখানে হামলার খবর পেয়ে আমরা আসি এবং আহত অবস্থায় ১৫ জনের মতো উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ঘটনার বিষয়ে কোনো পক্ষের কাউকেই আমরা পাইনি।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার হামলা নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ