মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২৩ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ রজব, ১৪৪৬

মূলপাতা অর্থ-বাণিজ্য

এস আলমের চারটিসহ ৬ ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে


বাংলাদেশ ব্যাংক

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:০২ অপরাহ্ণ

ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা চারটিসহ মোট ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত ওই ব্যাংকগুলো হলো-ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।

এর মধ্যে ফার্স্টসিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে গতকাল শনিবার বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, আন্তর্জাতিক নিরীক্ষার সুবিধার্থে আরও পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে ৫ ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ ব্যাংকগুলোর এমডিদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

প্রথমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় পরিচালনা পর্ষদ। শনিবার (৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত পর্ষদের এক জরুরি সভায় তাকে তিন মাসের জন্য ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করবেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া।

গত বৃহস্পতিবার ছয়টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে এসব ব্যাংকে অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে এস আলম–ঘনিষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

জানা গেছে, ঋণ কেলেঙ্কারি ও নানা অনিয়মে তারল্য সংকটে পড়ে খাদের কিনারায় যাওয়া এসব বেসরকারি ব্যাংকে ‘ফরেনসিক অডিট’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাক্সফোর্স। অডিট চলবে তাই এসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো। এমডিরা যেহেতু সে সময়ে (আগের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সময়ে) ছিলেন, তাই তাদেরকে দায়িত্বে রেখে অডিট প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কোনো বির্তক যাতে না ওঠে, নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে তাদেরকে ছুটিতে পাঠানো হলো।

আরও জানা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া সবধরনের লেনদেন যাচাই-পর্যালোচনা ও কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়েছি কি না, তা দেখতে এই ফরেনসিক অডিটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাক্সফোর্স। সেই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকও।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলোতে যদি আগের সময়ের কর্মকর্তারা থাকেন, তাহলে অডিটে ম্যানুপুলেশন হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে এস আলমের মতো কেউ ব্যাংক ডাকাতি করেনি’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর