বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা প্রবাসে রাজনীতি

লন্ডনে হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী–এমপিরা


লন্ডনে আওয়ামী লীগের সমাবেশের দর্শক সারিতে দেখা মিলেছে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী–এমপিদের। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:১৫ অপরাহ্ণ

লন্ডনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সমাবেশ করেছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সমাবেশের দর্শক সারিতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পালিয়ে যাওয়া কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সচিবকে দেখা গেছে।

গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ইস্ট লন্ডনের ইম্প্রেসন ভেন্যু হলে এই ভার্চুয়াল সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সমাবেশের আয়োজক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। আমন্ত্রণের পোস্টারে রয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নাম।

লন্ডনে এই সমাবেশের দর্শক সারিতে দেখা গেছে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লন্ডনের এই সমাবেশে তাদের প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল।

লন্ডনে হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী–এমপিরা
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর–১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে গত ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়। দেশে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

লন্ডনে হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী–এমপিরা
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার (বাঁয়ে)

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর কবির বিন আনোয়ার ও তার স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্তত এক হাজার ৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়। স্বৈারাচারকে হটাতে গিয়ে প্রায় ৩১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। যাদের অনেকেই হাত-পা, চোখ হারিয়েছেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিয়ে কড়া ভাষায় পোস্ট দিলেন সোহেল তাজ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর