রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছে বিএনপির তিন সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনগুলো।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। পদযাত্রা শেষে ভারতীয় হাইকমিশনকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পদযাত্রায় অংশ নিয়েছে দলটির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।
পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার উপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
বিএনপি জানিয়েছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসে যাওয়া হবে। সেখানে স্মারকলিপি দেবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
পদযাত্রার আগে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনা দুঃখজনক। তারা হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা ভারতকে বন্ধু ভেবেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের প্রভুর ন্যায় আচরণ করছে।
এর আগে গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজকের কর্মসূচি নিয়ে তিন সংগঠনের নেতারা বৈঠক করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে পদযাত্রা ও স্মারকলিপির পর একই ইস্যুতে ভারতের আগরতলার এপারে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত করা হতে পারে। লংমার্চ কর্মসূচির সম্ভাব্য দিন ১১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে সংগঠনের নেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে রাতে ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন। আজ-কালের মধ্যে লংমার্চের চূড়ান্ত তারিখ জানানো হবে বলে যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিশ্চিত করেছেন। তারা আরও বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কারণে এর আগেই তারা লংমার্চ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে আর কোনো ‘নতজানু’ পররাষ্ট্রনীতি নয়