বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ২০ রবিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা আবহাওয়া

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘দানা’


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:১৫ : পূর্বাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ‘দানা’ এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির যে গতিপথ তাতে এর কেন্দ্র ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরি ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ সকাল ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

 

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের একটানা গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। এটি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বলে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬৩-৮৭ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে সাইক্লোনিক স্টর্ম বা ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। গতিবেগ ৮৮-১১৭ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কাতারের দেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নামের অর্থ বিগ পার্ল বা বড় মুক্তা।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে প্রাক-বর্ষা মৌসুম ( এপ্রিল-মে) ও প্রি বর্ষা মৌসুম (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) এসময়ে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।। ১৮৯১ সাল থেকে গত বছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে ৯৪টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এসবের মধ্যে ১৯টি ঝড় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে।

বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করা ঝড়গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের উপর দিয়ে গিয়েছে। গত বছরই বছরের এ সময়ে তিনটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। গত বছরের অক্টোবরে ‘হামুন’, নভেম্বরে ‘মিধিলি’র পর ডিসেম্বরে ‘মিগজাউম’ নামের তিনটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল।

চলতি মাসের আবহাওয়া দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেও এক থেকে তিনটি লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এদের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে বলা হয়েছিল। ইতোমধ্যে একটি নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করেছে।

আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর