রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ৭:১২ : অপরাহ্ণ
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ৩৬ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৫৬৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর ডেঙ্গুতে নয়জনের মৃত্যু এবং ৯১৫ জন হাসপাতালে, ১৩ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং ৬৬০ জন হাসপাতালে, ১৪ অক্টোবর একজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে, ১৫ অক্টোবর আটজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১০৮ জন হাসপাতালে, ১৬ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে, ১৭ অক্টোবর আটজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১০০ জন হাসপাতালে এবং ১৮ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং ৪১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ হাজার ৪৬১ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪১৫ জন। মারা গেছেন ২৩৭ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে।
সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।