রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট ২০২৪, ৩:২৩ অপরাহ্ণ
গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে আপনি লাঠিয়াল বাহিনীর মতো পরিচালিত করতে পারেন না। এই পুলিশ জনগণের পুলিশ। তাদের হাতে মারণাস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, যা ঠিক হয়নি।’
আজ রোববার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র দিয়েছে। পুলিশের হাতে আমি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। এটা বোধহয় ১৫-২০ বছর আগে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে এই অস্ত্র দেওয়া ঠিক হয়নি।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে। অন্যায় হয়েছে। যারা আন্যায় করেছে তার জন্য তারা শাস্তি পাবে। পুলিশকে তারা ব্যবহার করেছে, আপনারা তাদের ধরেন। আমি বলব যারা হুমুকদাতা ছিল তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। আমাদের দেশে, না পারলে বিদেশে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘হুকুমদাতাকেই আমাদের বের করতে হবে। কারা পুলিশকে এরকমভাবে ব্যবহার করেছে, তাদের উদ্দেশ্যটা কী। আপনি পুলিশকে হুকুম দিয়ে জনগণকে মারবেন। আবার আসেন দেখেন জনগণ কী করে। ছিঁড়ে ফেলবে এবার।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতি হয়েছে চাটুকারদের রাজনীতি। কোনো পলিটিশিয়ান তৈরি করেন নাই, চাটুকার তৈরি করেছেন। এমনই চাটুকার তৈরি করেছেন যে মানুষ মরে যাচ্ছে কিন্তু না সব ঠিক আছে, সব ঠিক আছে। এরকম চাটুকারদের দল দিয়ে রাজনীতি করা যায় না।’
পুলিশের একটি গ্রুপ গত ১৫ বছরে দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আপনার নির্দেশনা না মেনে তারা কর্মস্থলে যোগ দেয়নি, বিদ্রোহের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ে যাবো। আলোচনা করে একটি তারিখ ঘোষণা করবো। এই তারিখের মধ্যে যদি পুলিশ সদস্যরা যদি না আসেন তাহলে আমরা ধরে নেবো, ‘দে আর ডেজার্টার’। আমার কাছে অনেক মেকানিজম আছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘাটতি পূরণ করার অনেক মেকানিজম আছে। আমি এখনই এটা প্রকাশ করতে চাই না। আগামী সাতদিনের মধ্যে দেখবেন, প্রশিক্ষিত পুলিশ চলে এসেছে।’
আরও পড়ুন: লাশের মিছিল না দেখতে পদত্যাগ করেছি: শেখ হাসিনা