রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১ আগস্ট, ২০২৪ ৯:১৪ : অপরাহ্ণ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে সভাপতি করে গঠিত তদন্ত কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন-হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী।
আগামী ৫ আগস্ট থেকে এই তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন তদন্ত কাজ শেষ করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গেল ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতা ও সংঘর্ষে মৃত্যুর কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কাজ করবে এ কমিশন।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় গত ১ জুলাই। এরপর গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ক্রমেই বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।
সরকারি তথ্য মতে, সংঘর্ষের ঘটনায় সারাদেশে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন। তবে দৈনিক প্রধম আলোর তথ্য অনুযায়ী, ২৬ জুলাই পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২০৯ জন।
আরও পড়ুন:
সরাসরি গুলির দৃশ্য দেখেছি, সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত চায় জাতিসংঘ
বাংলাদেশে বেআইনি হত্যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের গভীর উদ্বেগ
বাংলাদেশে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী