রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ জুলাই, ২০২৪ ৩:০৮ : অপরাহ্ণ
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), হাইকোর্ট ও সিএমএম কোর্টে বিক্ষোভ চলছে। এছাড়া সিলেট ও খুলনায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
আজ বুধবার সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ নামে এ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
দুপুরে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হাইকোর্টের মাজার রোডের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের নিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী শিক্ষার্থী পুলিশ ভ্যানের সামনে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে আইনজীবীদের একটি দলকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ লেখা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে হাইকোর্টের মাজার রোডের সামনে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। পরে আরও ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা একটি মিছিল নিয়ে যোগ দিতে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে শিক্ষকরা বসে পড়েন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসেছেন। আমরা সংহতি জানাতে এসেছি। পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে, পরে আমরা বসে পড়েছি।
অন্যদিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকার নিম্ন আদালতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। এসময় আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি আদালত চত্বর ঘুরে সিএমএম কোর্টের প্রধান ফটকে এলে বিজিবি ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তখন আইনজীবীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেন।
এর আগে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এ বিক্ষোভ মিছিলে শত শত আইনজীবী অংশ নেন।
খুলনায় বিক্ষোভকারীদের পুলিশের বাধা, সংঘর্ষ
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, অন্তত ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে কয়েকশো শিক্ষার্থীর একটি মিছিল নগরীর নিরালা মোড়, ময়লাপোতা মোড় হয়ে রয়েল মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ময়লা পোতা মোড়ে পুলিশের বাধার মুখ পড়ে। সেখান থেকে পুলিশকে উপেক্ষা করে সাতরাস্তা মোড়ে বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) ভবনের সামনে এলে আবার পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
এরপর শিক্ষার্থীরা বিএমএ’র সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টা দেওয়া শুরু হয়। একসময় পুলিশি বাধায় শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে উঠে যান এবং সাত রাস্তার বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন।
সিলেটে আন্দোলনকারী-পুলিশ সংঘর্ষ, টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
সিলেটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা নিয়ে নগরের সুবিদ বাজারের দিকে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আন্দোলনকারী ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখন নগরের বিভিন্ন গলি-রাস্তায় জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন ঘিরে গ্রেপ্তার প্রায় সাড়ে ১০ হাজার