রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৫ জুলাই, ২০২৪ ২:৩৯ : পূর্বাহ্ণ
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র সারজিস আলমকে হল ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে হলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হলে প্রশাসন সারজিস আলমকে তার কক্ষে পৌঁছে দেয়।
এ সময় সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, হল ছাত্রলীগের একাধিক নেতা তাকে বের করে দেওয়ার জন্য সংগঠনটির শীর্ষ একজন নেতার নির্দেশ রয়েছে বলে জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলগেটে জড়ো হন। পরে শীর্ষ নেতা এ রকম কোনো নির্দেশ দেননি বলে তিনি জানতে পারেন। এরপর পদপ্রত্যাশী নেতারা আমার কাছে এসে মাফ চেয়েছেন। তারা চেয়েছেন আমাকে বের করতে পারলে রাজনৈতিক ফায়দা পাবে বা ক্রেডিট নিতে পারবেন।
তবে তারা মাফ চেয়ে অনুশোচনা করায় তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
এরপর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সারজিসকে তার কক্ষে পৌঁছে দেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ইশতিয়াক সৈয়দ বলেন, ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল যে সারজিসকে হল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা হলগেটে ভিড় করেন। মূলত তাকে কিছুই করা হয়নি। তবুও আমি তাকে কক্ষে পৌঁছে দিয়ে এসেছি।
জানা যায়,অমর একুশে হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের গ্রুপের পদপ্রত্যাশী নেতারা সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা কাউকে হল ছাড়তে বাধ্য করিনি। সেখানে কে থাকবে, কে থাকবে না সেটা কর্তৃপক্ষ ঠিক করে। কাউকে হল ত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য আমরা কোনো নির্দেশ দিইনি।
এ প্রতিবেদন লেখার ১২টা ৪৫ পর্যন্ত হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা গেছে কোটা বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের। এ সময় তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এক ভাইকে হল ত্যাগে বাধ্য করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে আমরা একুশে হলের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আন্দোলনের কাউকে হল থেকে বের হতে বাধ্য করা হলে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
আরও পড়ুন: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা