রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ মে, ২০২৪ ৫:০৭ : অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার জন্য দুই-তিন মাস ধরেই পরিকল্পনা করা হয়। রাজধানীর শুলশান-২ নম্বর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আনারের বন্ধু আকতারুজ্জামান শাহীনের বাসায় খুনের ছক কষা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তারা প্রথমে পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করবে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় যেকোনো হত্যাকাণ্ডের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করেছে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না বলেই অপরাধীরা কলকাতা বেছে নেয়। তবে তারা এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে থাকতে পারেনি। আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও কয়েকজনকে নজরাদিতে রাখা হয়েছে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুয়ায়ী, এমপি আনারকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। মরদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে ব্রিফকেসে করে গুম করার চেষ্টা করা হয়। তারা আধাঘন্টার মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করে। হত্যার পর একজন এমপি আনারের মোবাইল ফোন নিয়ে বাইরে চলে যায়। আর লাশের হাড় থেকে মাংস বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর হাড়গুলো একটি ব্রিফকেসে করে বাইরে নিয়ে যায়। তারপর মাংসগুলো আলাদা করে নিয়ে যায়। এমনকি কেউ যেন সন্দেহ না করতে পারে সে জন্য মাংসের সঙ্গে মসলা মিশিয়ে খাবার উপযোগী মাংসের মতো বানানো হয়।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ভারতীয় পুলিশ গাড়ির চালককে নিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পুরোপুরি না পেলেও মরদেহের অংশবিশেষ পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন:
৫ কোটি টাকার চুক্তিতে এমপি আনার খুন, নেপথ্যে…
ইন্টারপোলের রেড নোটিশ ছিল এমপি আনারের বিরুদ্ধে