রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ মে, ২০২৪ ১:০২ : পূর্বাহ্ণ
ভারতে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা- ইন্টারপোলের রেড নোটিশ ছিল। ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড আসামি হিসেবে পুলিশ একবার তাকে আটক করলেও ক্যাডাররা পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
জানা গেছে, রাজনীতিতে আসার আগে চরমপন্থি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আনার। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ২১টি মামলা ছিল। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি মামলার এ তথ্য উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর থেকে ওই মামলাগুলো থেকে একে একে অব্যাহতি পান আনার। ২১টি মামলায় তিনি খালাস পেলেও বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ সময়ে সময়ে উঠে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, ১৯৮৬ সালের দিকে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে আনার মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। এই মাদক কারবারের মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ সালে আনার বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সর্বশেষ তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আনার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর অপারেশনের সময় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন আনার। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হলে ক্ষমতার দাপটে বেশিরভাগ মামলা থেকে নিজেকে মুক্ত করেন আনার।
আরও পড়ুন: এমপি আনারের লাশ টুকরো করে লাগেজে ভরে বাইরে নেওয়া হয়!