রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ মে, ২০২৪ ৪:২৪ : অপরাহ্ণ
শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, আওয়ামী লীগের ‘কথিত’ এমপিরাও সরকারের বন্ধুরাষ্ট্রের (ভারত) কাছে নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, আজ সকালে ভারতের কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দুর্নীতি বা অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক নয়. তাদের (বাংলাদেশ সরকার) তথাকথিত সংসদ সদস্য বিদেশে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, তার কোন খবর তারা (বাংলাদেশ সরকার) দিতে পারলেন না। না পারলো বাংলাদেশ সরকার, না পারলো তাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। আমরা কী মনে করবো? এটার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা। টাকার পাহাড় তৈরি করা, বিদেশে পাঠানো।’
আরও পড়ুন:
এমপি আনারের খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার, উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
এমপি আনার খুনের পেছনে ভারত জড়িত নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর। তার জন্য দায়ী সরকার। সেনাবাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহারের ফলে এই নিষেধাজ্ঞা। সরকারের কারণে সেনাবাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করা হলে দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাম মাওলা রনির গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাম মাওলা রনির গাড়িতে হামলা হয়েছে। কেনো? কারণ একটাই, গোলাম মাওলা রনি তার বিভিন্ন বক্তব্যে মধ্যে দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। অর্থাৎ সমালোচনা করা যাবে না। কারণে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়াউর রহমান না কি বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন! এটা পুরোপুরিভাবে একটা সত্যের অপলাপ করেছেন। মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) যিনি তার (জিয়াউর রহমান) ওই সময়ের সহকর্মী ছিলেন, তিনি আমাকে বলেছেন-এটা সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা কথা। জিয়াউর রহমান সাহেব কখনোই বাকশালের ফরম পূরণ করেননি। এভাবে মিথ্যা কথা বলে বলে তারা জিয়াউর রহমান সাহেবকে একটা ভিন্নভাবে পরিচিত করতে চান।’