বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

বাংলাদেশি ১০ জেলেকে অপহরণ করলো আরাকান আর্মি


নাফ নদী

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ মে, ২০২৪ ৭:১৮ : অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ায় নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এ ঘটনায় অপহৃতদের পরিবারের মাঝে চরম উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

গতকাল বুধবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফনদীর অংশের মোদিরখাল থেকে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।

অপহৃত জেলেরা হলেন-পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম, মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম, মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম, আবু তাহেরের ছেলে শাহীন, গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম, পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী, মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান এবং আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম।

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নাফ নদীর মোদিরখাল এলাকায় মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশি ১০ জেলেকে ধরে ওপারে (রাখাইন রাজ্যে) নিয়ে গেছে। সেখানকার একটি চৌকিতে জেলেদের রাখা হয়েছে বলে জেনেছি। কিন্তু আরাকান আর্মি বাংলাদেশি জেলেদের কেন ধরে নিয়ে গেল বোধগম্য হচ্ছে না।’

তিনি জানান, গত মার্চ মাসের শুরুর দিকে পালংখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানকে আরাকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। ১৯ দিন পর তার মৃতদেহ নাফ নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর হোসেন বলেন, ‘যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। তাই বিজিবির হস্তক্ষেপে এটি সমাধানের প্রচেষ্টা চলছে।’

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। টানা আড়াই মাসের চলমান সংঘাতে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের উত্তরের বলিবাজার, নাকফুরা, কাওয়ারবিল ও দক্ষিণের নাইক্ষ্যংদিয়াসহ কয়েকটি এলাকাতে বিজিপির ১২টির বেশি সীমান্তচৌকি দখলে নেয়।

আরাকান আর্মির সঙ্গে টিকতে না পেরে গত দুই মাসে ৬-৭ দফায় ৬১৮ জন মিয়ানমার সেনা ও সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। পরে দুই দফায় সবাইকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর