রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ৯:০৬ : অপরাহ্ণ
ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ড্রোন কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
আজ বৃহস্পতিবার একযোগে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশ দুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলা করতে সহায়তা করা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেতা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে।
জো বাইডেন বলেন, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ২০০টির বেশি ড্রোন ও মিসাইল ছুড়েছে ইরান