মুক্তিপণ নিয়ে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। নানা দেন-দরবার শেষে গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে তীরের দিকে চলে যায়।
জাহাজ ছিনতাইয়ের পর থেকে দস্যুদের মুক্তিপণের বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হচ্ছিলো। তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করে; কিন্তু নাবিকদের ছাড়াতে মুক্তিপণ লেগেছে কিনা, কিংবা কী পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তারা ছাড়া পেয়েছেন, সেই সম্পর্কে সরকার কিংবা জাহাজের মালিকপক্ষের কেউ কথা বলেননি।
তবে নাবিকদের মুক্তির কয়েক ঘণ্টা পর দুজন জলদস্যুর বরাতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের কথা লিখেছে রয়টার্স। সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোও একই পরিমাণ মুক্তিপণের খবর দিয়েছে।
এদিকে এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের মুক্ত করতে সোমালি জলদস্যুদের ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার যে ভিডিও সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সেটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মুক্তিপণের বিষয়টি তিনি ‘সিনেমা’ মনে করছেন।
তিনি বলেন, ‘নাবিকদের মুক্ত করতে জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য ‘সরকারের কাছে নেই’।
আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এটা এখন কোনো সিনেমার ছবি; আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।’
উড়োজাহাজ থেকে টাকার ব্যাগ ফেলার ওই ভিডিওর বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এতো দামি জিনিস (ডলার) পানিতে ফেলে জানা ছিল না।’
এমভি আবদুল্লাহ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ায় গত ১২ মার্চ যে উৎকণ্ঠার সূচনা হয়েছিল, তার অবসান ঘটে নতুন বাংলা বছরের শুরুতে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে নিয়ে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে দুবাইয়ের দিকে রওনা হয়।
আরও পড়ুন: ৫৫ কোটি টাকায় মুক্তি পেলো জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক