রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ মার্চ, ২০২৪ ৩:০৭ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ রাতেও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। ওই দিনও তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে পরে আর নেওয়া হয়নি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে পরদিন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ফুসফুসের পানি অপসারণের পর এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রসনোগ্রাফিসহ কিছু পরীক্ষা করানো হয়। এরপর ওইদিনই রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর আগে তিনি ওই হাসপাতালে দীর্ঘ ৫ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে নানা শারীরিক জটিলতায় তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেশে আসেন। তারা খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি বৃদ্ধি এবং লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে অস্ত্রোপচার করেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা। ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।