রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ মার্চ, ২০২৪ ১২:৩০ : পূর্বাহ্ণ
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ৫৩ বছর পূর্ণ করে ৫৪ বছরে পদার্পণ করলো। আজ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। মাতৃভূমিকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন..।’
বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি মাতৃভূমিকে পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে মুক্ত করতে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিকামী মানুষ।
এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ।
রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহংকারের দিন আজ।
১৯৭১ সালের এই দিন এসেছিল বলেই বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে গর্বের পতাকা। এই দিন এসেছিল বলেই প্রাণের আনন্দে বাঙালি গাইতে পারে জাতীয় সংগীত। স্বাধীনতা দিয়েছে বাঙালিকে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অধিকার। জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার আত্মশক্তি পাওয়া যায় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বলেই।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা ভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের।
এ দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।