রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ মার্চ, ২০২৪ ১০:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকালে শীর্ষ দুই ভারতীয় আইএস (ইসলামিক স্টেট) জঙ্গি নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে আসাম পুলিশ।
এরা হলেন-আইএসের প্রধান হারিস আজমল ফারুকি ও অন্যজন অনুরাগ সিং ওরফে রেহান।
আসাম পুলিশের দাবি, এই দুই আইএস নেতা বড় ধরনের হামলার লক্ষ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
গতকাল বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে আসামের ধুবরি জেলায় প্রবেশ করার অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসাম পুলিশের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি গোস্বামী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথের বাসিন্দা অনুরাগ সিং ধর্মান্তরিত হয়ে রেহান নামে আইএসে যোগ দিয়েছেন। তার স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আজমল ফারুকি দিল্লিতে আইএস মডিউলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির সাবেক ছাত্র।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস।
আসাম পুলিশের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, আজমল ফারুকি ও অনুরাগ সিং ভারতের উচ্চ প্রশিক্ষিত আইএস নেতা। তারা ভারতে বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরক (আইইডি) ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সদস্য নিয়োগ এবং অর্থায়নে কাজ করতেন আইএসের জন্য। এনআইএ, দিল্লি, এটিএস, লক্ষ্ণৌতে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে ক্যাম্প করে ছিলেন।
প্রণবজ্যোতি গোস্বামী বলেন, স্যাবোট্যাজমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে এই দুই আইএস নেতা ধুবরি সেক্টর দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে শনাক্ত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে মঙ্গলবার ধুবরি জেলায় স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) টিম পাঠানো হয়।
আসাম পুলিশের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আসামে ঢোকার ছক ছিল এই দুই আইএস নেতার। সেই খবর পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। তথ্যের ভিত্তিতে ধুবরিতে কাজ শুরু করে আসাম পুলিশের এসটিএফ। এরপর এই দুই আইএস নেতাকে গ্রেপ্তার করতে আন্তর্জাতিক সীমান্তে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর এই দুই ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করার পর ধুবরি জেলার ধর্মশালায় তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। দুজনকেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটিতে এসটিএফ অফিসে।