রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ মার্চ, ২০২৪ ২:০৫ : অপরাহ্ণ
চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, যার প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এর মধ্যে ২২ উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে; বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে।
জামানতের টাকা বাড়িয়ে এবং স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজ করে বিধি সংশোধনের পর আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
৮ মে প্রথম ধাপের পর ২৩ ও ২৯ মে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ এবং ৫ জুন শেষ ধাপের ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশনের ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল।
এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে হবে সাধারণ নির্বাচন। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।
এর আগে ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা’ এবং ‘উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা’ সংশোধন করে গত মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
নতুন বিধি অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটার সমর্থন সূচক স্বাক্ষর জমা দিতে হবে না। মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
নতুন বিধিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং ‘মহিলা সদস্য’ পদে অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আচরণ বিধিমালায় প্রার্থীরা জনসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দের পর অন্যান্য প্রচার চালাবেন। আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহের আগে প্রচার চালাতে পারতেন না। এছাড়া প্রার্থীরা সাদা-কালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন।