শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

‘তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলতে চেয়েছিলেন সাকিব’


নিপুণ রায় ও সাকিব আল হাসান।

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ মার্চ, ২০২৪ ৭:০৭ : অপরাহ্ণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বিএনএমে (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে) যোগ দেওয়া সংক্রান্ত একটি খবর সামনে আসার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় এবার ঘি ঢেলেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।

তিনি দাবি করেছেন, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সাকিব আল হাসান বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান তাকে সময় দেননি।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন নিপুণ রায়।

নিপুণ রায় বলেন, ‘সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এই সাকিব আল হাসান বিএনপিতে আসার জন্য নির্বাচনের আগে আমার সঙ্গেও দেখা করেছেন। বিএনপিতে যোগ দেবেন বলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে সশরীরে দেখা করতে চেয়েছিলেন।’

বিএনপিতে যোগ দেওয়ার জন্য সাকিব কখন যোগাযোগ করেছিলেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে শ্রীলংকার সঙ্গে যখন ম্যাচ হয় তখন সাকিব আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমার বাবার বাড়ি মাগুরা। এই সূত্র ধরে আমার ভাইয়ের মাধ্যমে সাকিব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

নিপুণ রায় বলেন, ‘সাকিব আল হাসান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমার নেতা তাকে সময় দেননি। এটার প্রমাণ চাইলে সাকিব আল হাসানের বাসার ভিডিও চেক করেন। চেক করলে আরও অনেক কিছু পাবেন।’

এই বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আমাকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন সাকিব। উনি ভেবেছিলেন কোথায় গেলে সুবিধা পাবেন। কারণ সুবিধাবাদী লোকেরা সব সময় সুযোগ খোঁজেন। একইভাবে বিএনএমের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে মেজর হাফিজের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি পাত্তা পাননি। পরে আওয়ামী লীগ নৌকা দিলে সেখানে উঠে গেলেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায় বলেন, ‘এই সাকিব আল হাসানকে আমি সম্মান করি, কারণ তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তবে তিনি স্বার্থের বাইরে কখনো চিন্তাও করেন না। এটাকে ঘৃণা করি। আজকে সাকিবের সঙ্গে মেজর হাফিজকে জড়ানো হচ্ছে এটা সরকারের একটা উচ্ছ্বাস।’

এই বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারাও জানেন সাকিব আল হাসান কোন কোন ঘাটের পানি খেয়ে এসেছেন। সাকিব অন্তত দশ ঘাটের পানি খেয়েছেন। এরপরও সাকিব অন্য জায়গায় চলে যেতে পারেন। এ কারণে তখন সাইফুজ্জামান শিখরকে (মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য) সরিয়ে সাকিবকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত হয়।’

নিপুণ রায় বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের বিএনএমে যোগ দেওয়ার ইস্যুটি পরিষ্কার করেছেন মেজর (অব.) হাফিজ। বিএনএমের যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাকে নিয়ে সাকিব আল হাসান গিয়েছিলেন মেজর হাফিজের কাছে। তাছাড়া অনেকভাবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটিও নাকচ করে দিয়েছেন মেজর হাফিজ।’

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা-১ থেকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। নমিনেশন নেওয়ার সময় দলের প্রাথমিক সদস্য হন সাকিব। এর আগে সাকিব দলের কেউ ছিলেন না। নমিনেশন দেওয়ার সময় প্রাথমিক সদস্য পদ দেয় আওয়ামী লীগ।

আরও পড়ুন: কী প্রস্তাব ছিল সাকিবের, জানালেন মেজর হাফিজ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর