রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ মার্চ, ২০২৪ ২:৫৬ : অপরাহ্ণ
সম্প্রতি ইফতারে খেজুরের বদলে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এবার ইফতারে বেগুনি খাওয়া বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে টিসিবি ভবনের সামনে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কি বেগুনি খেতেই হবে? আমরা যদি বেগুন কেনা একটু সীমিত করে দিই, তা হলে যে বেগুন ১০০ টাকা হয়েছে, পর দিনই তা ৪০ টাকায় পাওয়া যাবে। ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভোক্তারা কিনে বলেই দাম বৃদ্ধি পায়।’
ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, ইফতারে তেলে ভাজা বেগুনি কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আমি ডাক্তার নই, কিন্তু সব ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে এই বেগুনি না খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। গণমাধ্যমগুলো ইফতারের যে পসরা প্রচার করে, সেখানে যে তেলে ভাজা বেগুনি দেখানো হয় এবং যে পরিমাণ ধুলোবালি সেখানে পড়ে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়।’
বাজারে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ শসা, বেগুনের দাম পার করেছে সেঞ্চুরি। আকাশছোঁয়া দাম মুদি পণ্যেরও। খেসারির ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ছোলা ১২০ আর দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫৫ টাকায়। সব ক্ষেত্রেই আছে দামের উত্তাপ। চিনি কিনতে দিতে হবে ১৫০ টাকা।
ইফতারে রোজাদারদের কাছে বিশেষ কদর রয়েছে নানা ধরনের শরবতের। কিন্তু লেবুসহ শরবতের বিভিন্ন উপকরণের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্য কিনতে গিয়ে গলা শুকিয়ে আসার জোগাড় ভোক্তাদের। এমনকি ইসবগুলের ভুসির দাম পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: খেজুর-বরই বিতর্ক: সমালোচনার মুখে সুর বদলালেন শিল্পমন্ত্রী