রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ ২০২৪, ৩:২১ অপরাহ্ণ
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। নির্বাহী চেয়ারম্যান করা হয়েছে কাজী ফিরোজ রশীদকে। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টির দশম সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য তাদের দায়িত্ব দেন কাউন্সিলররা।
কমিটির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান হয়েছেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কো চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রাহগীর আল সাদ মাহি এরশাদ, গোলাম সরোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়। সম্মেলনে ১৯টি সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়।
সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আজ যদি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই তার প্রতিফলন ঘটেছে।’
জাতীয় পার্টির একাংশের নবনির্বাচিত এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আদালতের সুবিচারে পল্লিবন্ধু এরশাদ এবং আমি লাঙ্গল প্রতীক জাতীয় পার্টির জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। সেই লাঙ্গল প্রতীক এখনো আমাদের জাতীয় পার্টির অনুকূলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে রওশন এরশাদ বলেন, ‘পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নাই। আমরা এক আছি- ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো। অতীতে যারা পার্টি ছেড়ে গেছে- তারা কেউ পল্লীবন্ধু এরশাদের নীতি আদর্শ নিয়ে যায়নি। এমনকি তারা পল্লীবন্ধুর ছবিও সাথে নেয়নি। তাই জাতীয় পার্টি কখনো ভেঙ্গেছে- তা আমি মনে করি না।’
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘এরশাদের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলবেন না। এরশাদকে বাদ দিয়ে কোনো জাতীয় পার্টি বাংলার বুকে হবে না। আপনাদেরকেও আহ্বান করব, ঐক্যবদ্ধ হোন, দালালি করবেন না।’
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।