সবধরনের জ্বালানি তেলের দাম সামান্য কমানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেলের দাম কমানোর এই ঘোষণা দেয়।
তবে জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয় নির্ধারণ পদ্ধতি চালু হওয়ার কথা ছিল গত সেপ্টেম্বরে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটার প্রতি ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ দশমিক ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, আগে এই দাম ছিল লিটার প্রতি ১০৯ টাকা।
অকটেনের দাম লিটার প্রতি ৪ টাকা কমে ঠিক করা হয়েছে ১২৬ টাকা; আগে এই দাম ছিল ১৩০ টাকা লিটার।
অন্যদিকে পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ৩ টাকা কমে হয়েছে ১২২ টাকা, আগে এই দাম ছিল ১২৫ টাকা।
এই দাম আগামীকাল শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।
জ্বালানি তেলে গত দেড় বছর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) লাভ করে আসছিল। গত অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। লাভের ভাগ সরকারি কোষাগারেও গেছে ২০০ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৫০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে বিপিসি।
মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না। জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল।
এখন থেকে প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঘোষণা করা হবে। এতে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়া অথবা কমতে পারে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য ঘোষণা করা হবে মাসের প্রথম সপ্তাহে।