বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

আগুনে এস আলমের ১ লাখ টন চিনি পুড়ে যাওয়ার দাবি


চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম গ্রুপের সুগার মিলে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৪ মার্চ, ২০২৪ ৯:১২ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে আগুনে ১ লাখ টনের বেশি উৎপাদিত চিনি ও চিনির কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় ওই চিনি কারখানার একটি গুদামে আগুন লাগে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর দুইটি ইউনিট ও বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটির ১৩ সদস্য। তবে রাত ৮টা নাগাদও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

গোডাউনের পাশেই রয়েছে চিনি তৈরির মূল কারখানা। আগুন যাতে সেখান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য চেষ্টা চালাচ্ছ ফায়ার সার্ভিস।

এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, গোডাউন ভর্তি সুগার ছিল। পাঁচতলা ভবনের মতো উঁচু গোডাউনটির আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলেও অনেকটাই কমে এসেছে। আগুনে কোনো হতাহত নেই দাবি করে তিনি বলেন, আশেপাশের স্থাপনাগুলোতে আগুন ছড়ানো ঠেকানো গেছে।

কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক সংলগ্ন ইছাপুর এলাকায় ১১ মেগাওয়াটের এস আলম পাওয়ার প্লান্টের পাশেই এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলটি অবস্থিত। পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ দিয়েই চিনি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চলে।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর