রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন নাগরিককে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজারের ইনানী জেটিঘাট থেকে তাদের হস্তান্তর করে পর্যটকবাহী জাহাজে তোলা হয়েছে।
এসময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ দুই দেশের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের নীলা সরকার ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে ভোর ৫টা থেকে ১২টি বাসে করে উখিয়ার ইনানী উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় আনা হয়।
‘কর্ণফুল ‘ ও ‘বার আউলিয়া’ জাহাজে করে সেখান থেকে তাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে করে নেওয়া হয় গভীর সাগরে। যেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর আরেকটি জাহাজ। সেই জাহাজের মাধ্যমে স্বদেশে ফেরত যাবেন মিয়ানমারের নাগরিকরা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ সময় তাদের নিরস্ত্র করে ঘুমধুমের একটি স্কুলে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয় টেকনাফে।
এর মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী ৩৩০ জনের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক।