রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, বান্দরবান প্রকাশের সময় :৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১:২৯ : অপরাহ্ণ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি সেনাদের সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছে জমা রাখা আছে।
আজ রোববার ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরাফি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের নিজেদের দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে, যার পরিস্থিতি নাজুক মনে হচ্ছে। এ সময় বেশ কজন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশ সীমানায় সশস্ত্র অবস্থায় চলে এসেছেন। তাদেরকে কর্ডন করে এনে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল করতে আজ রোববার ভোর ৪টা থেকে মর্টারশেল ও ভারী অস্ত্রের গোলা ছুড়ছে পরস্পরকে। গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে দিন পার করছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
আজ সকালে মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় দুটি মর্টার শেল ও একাধিক গুলি এসে পড়েছে। এতে দুজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ঘুমধুম সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্পের মাত্র দেড় শ গজ অদূরে তুমব্রু বাজার। এ বাজারের ব্যবসায়ী শফিক আহমদ, আবুল হোসেন আলী আকবর ও গুরা মিয়া বলেন, মাঝখানে তুমব্রু বাজার। পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে বিদ্রোহী আরকান (এএ), পশ্চিম ও উত্তর দিকে আরএসও ঘিরে রেখেছে ক্যাম্পটি। তারা (বিদ্রোহী) যে কোনো মূল্যে তুমব্রু রাইট ক্যাম্পটি দখল করে নিতে চায়।
এ সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের অন্তত ছোট-বড় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অঘোষিত বন্ধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান। তিনটি নুরানি স্তরের প্রতিষ্ঠান।