চলতি মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারি হজ নিবন্ধনের সময় আরও ৮ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন হজযাত্রীরা।
আজ বুধবার রাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের সময় কয়েক দফা বাড়ানো হলেও হজযাত্রীদের তেমন সাড়া মেলেনি।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১৭৩ জন।
কিন্তু হজ এজেন্সিগুলো নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই প্রেক্ষাপটে নিবন্ধনের জন্য আরও ৮ দিন সময় বাড়ালো ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হতে হজ চুক্তির পূর্বেই হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর বাধ্যবাধকতা থাকা স্বত্বেও হজযাত্রী ও হজ এজেন্সির বিশেষ অনুরোধে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। এ সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।
প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় এ বছর হজে যাওয়া যাবে না এবং প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং এক লাখ ১৭ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাতে পারবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ১৭৩ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৮০২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩৭১ জন।
সেই অনুযায়ী কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এখনও ৭৪ হাজার ২৫ জন নিবন্ধন করেননি। অর্থাৎ কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রয়েছে।
