রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ৫:০১ : অপরাহ্ণ
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা গল্পের বিতর্ক প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যে, সেখানে বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টি হয় তবে এ গল্পের উপস্থাপনা পরিবর্তন করা যায় কি না এই বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবো। তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়। আমরা পলিসি লেভেলে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নওফেল বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠী নানান বিষয়ে ধর্মকে ব্যবহার করে, হোক বা ধর্মীয় অনুভূতি, হোক নানান সময়ে অরাজকতা করা বা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার একটি প্রবণতা তাদের আছে। গতবছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন। সেখানে তারা দাবি করেছেন, এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, শব্দটা থার্ড জেন্ডার। এটা আইনত স্বীকৃত যে, তৃতীয় লিঙ্গ সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গ যাদের সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত, সেটি তো আইনত স্বীকৃত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে, তাহলে এ গল্পের উপস্থাপনা পরিবর্তন করা যায় কি না- বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবো।’
ব্র্যাকের বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করবো।’