বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন ১২ সিনেটরের চিঠি


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ১:২৬ : অপরাহ্ণ
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Rajnitisangbad Facebook Page

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন ১২ জন মার্কিন সিনেটর।

২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন-সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ হুইপ ইলিনয়ের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর ডিক ডারবিন, ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর টড ইয়াং, নর্দান ভার্জিনিয়ার ডেমোক্রেট সিনেটর টিম কেইন, অরিগন রাজ্যের ডেমোক্রেট সিনেটর জেফ মার্কলি, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডেমোক্রেট সিনেটর জেন শাহিন, ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর এড মার্কি, ওহাইও রাজ্যের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর শেরোড ব্রাউন, ভারমন্ট রাজ্যের ডেমোক্রেট সিনেটর পিটার ওয়েলস, রোডস আইল্যান্ডের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর শেলডন হোয়াইটহাউস, অরিগনের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর রন উয়াইডেন ও নিউজার্সির ডেমোক্রেট সিনেটর কোরি বুকার।

চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে ডিক ডারবিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

চিঠিতে প্রফেসর ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারের সমালোচকদের টার্গেট করে বিস্তৃতভাবে বিচার ব্যবস্থার যে লঙ্ঘন করা হচ্ছে সেই ধারা বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, অন্তত এক দশক ধরে বাংলাদেশে অন্তত ১৫০টি অপ্রমাণিত বিষয়ে মামলা করা হয়েছে প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সিনেটররা বলেছেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলায় প্রক্রিয়াগত ত্রুটির বিষয়টি তুলে ধরেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো। এমন বিচারে প্রফেসর ইউনূসকে সম্প্রতি শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করছেন তিনি।

তারা বলেছেন, বার বার এবং নিরন্তর ইউনূসকে হয়রানি এটাই প্রতিফলিত করে যে, বাংলাদেশের বহু নাগরিক সমাজের সদস্যরা ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি।

বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রফেসর ইউনূসকে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পুরস্কার দেওয়ার প্রচেষ্টায় মার্কিন কংগ্রেসে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিক ডারবিন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সম্পর্কে আছে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় এবং অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে বহুজাতিক সহযোগিতা। প্রফেসর ইউনূসের হয়রানি বন্ধ করে ও অন্যদের সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। অন্য যেসব দেশে গণতন্ত্রের বাধা আছে, মুক্ত মত প্রকাশে বাধা আছে তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে কথা বলে যাচ্ছেন ডিক ডারবিন।

সিনেটররা আরও বলেছেন, বাংলাদেশে এবং সরাবিশ্বে লাখ লাখ মানুষকে উন্নত অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতিতে ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ইউনূস কাজ করছেন। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে তার ঐতিহাসিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তাকে কংগ্রেসশনাল গোল্ড মেডেল পুরস্কার দেয় মার্কিন কংগ্রেস। চলমান রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেয়ার ফলে, বিশেষ করে একটি গণতান্ত্রিক দেশের আইনে-এসব উদ্যোগ বাধা দেয়া উচিত হবে না।

আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের পর জামিন ড. ইউনূসের, ‘দোষ না করে শাস্তি পেলাম’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর